এসকোরবিক অ্যাসিডকে (Ascorbic acid) ভিটামিন-সি বলা হয়। এসকোরবিক অ্যাসিড সাধারণত স্কার্ভি (Scurvy), দাঁতের মাড়িতে রক্তপাত, রক্ত স্বল্পতা বা এনিমিয়া প্রভৃতি রোগে সেবন করা হয়। তবে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন-সি সেবনে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এ ছাড়া ভিটামিন-সি মাথাব্যথা এবং পাকস্থলিতে অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। এসকোরবিক অ্যাসিড মূত্রের মাধ্যমে অপরিবর্তিত অবস্থায় বর্জিত হয়।

ভিটামিন সি কোথায় পাওয়া যায়?
টাটকা শাক সবজি ও টাটকা ফলে ভিটামিন C পাওয়া যায়। ফলের মধ্যে আমলকী, লেবু, কমলালেবু, টমেটো, আনারস, পেয়ারা ইত্যাদি ভিটামিন সি এর উৎস। শাকসবজির মধ্যে মুলাশাক, লেটুস পাতা, ধনে পাতা, পুদিনা পাতা, কাঁচা মরিচ, ফুলকপি, করলা ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C পাওয়া যায়। শুকনা ফল ও বীজে এবং টিনজাত খাদ্যে এই ভিটামিন থাকে না।

ভিটামিন সি এর কাজ
ভিটামিন সি দেহে যেসব কাজ করে সেগুলো হলো–

  • ত্বক, হাড়, দাঁত ইত্যাদির কোষসমূহকে পরস্পরের সাথে জোড়া লাগিয়ে মজবুত গাঁথুনি প্রদান করে।
  • শরীরের ক্ষত পূর্ণগঠনের কাজে প্রয়োজন হয়।
  • দাঁত ও মাড়ি শক্ত করে।
  • স্নেহ, আমিষ ও অ্যামাইনো এসিডের বিপাক কাজে ভিটামিন C গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  • ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখে।
  • রোগ প্রতিরোধ করে।


অভাবজনিত সমস্যা ও রোগ

  • যাঁদের শরীরে ভিটামিন সি-এর অভাব রয়েছে, তারা খুব সহজে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। শরীরে শক্তি কমে যায়, অবসন্ন হয়ে পড়ে।
  • শরীরে Vitamin C-এর ঘাটতি হলে বিরক্তিভাব দেখা দেয়। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
  • যাদের শরীরে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি হয়, তাদের হঠাৎ করে ওজন কমে যেতে পারে।
  • Vitamin C-এর অভাব হলে গিঁটে ব্যথা বা পেশিতে ব্যথার সমস্যা হয়।
  • ভিটামিন সি-এর অভাব হলে দেহে কালশিটে দাগ পড়ে।
  • ভিটামিন সি দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। এর ঘাটতি দেখা দিলে এসব অংশে সমস্যা হতে পারে।
  • ত্বক ও চুল শুষ্ক হয়ে যাওয়াও Vitamin C-এর ঘাটতির লক্ষণ।
  • Vitamin C-এর ঘাটতি হলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়।

Post a Comment

Previous Post Next Post