ধাতু হচ্ছে এক প্রকার মৌলিক পদার্থ, যা আয়ন সৃষ্টির মাধ্যমে ধাতব বন্ধন গঠন করে। ধাতু কয়েক শ্রেণীর হয়ে থাকে যেমনঃ মৌলিক ধাতু, মূল্যবান ধাতু, ভারী ধাতু ইত্যাদি।

নিচে কয়েকটি ধাতুর সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলোঃ

মৌলিক ধাতু : রসায়নে মৌলিক ধাতু বলতে সেসব ধাতুকে বোঝায় যা সহজে জারিত বা ভাঙ্গা যায় এবং হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া ঘটিয়ে ধাতব ক্লোরাইড ও হাইড্রোজেন গঠন করতে পারে। উদাহরণ - লোহা, নিকেল, তামা ও দস্তা।

মূল্যবান ধাতু : মূল্যবান ধাতু হল বিরল ধাতব রাসায়নিক উপাদান, যার উচ্চ আর্থিক মূল্য রয়েছে।

ভারী ধাতু : ভারী ধাতু হল তুলনামূলকভাবে গাঢ় ধাতু। আরও সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞার প্রস্তাব করা হয়েছিল, কিন্তু কোনটাই সার্বজনীনভাবে গৃহীত হয় নি।


ধাতুর বৈশিষ্ট্য (Properties of Metal)

ধাতুর বৈশিষ্ট্যগুলো হলো–

  1. ঘাতসহনীয়তা (ধাতুকে পিটিয়ে যেকোনো আকার দেওয়া যায়)।
  2. নমনীয়তা (ধাতুকে পিটিয়ে সরু তারে পরিণত করা যায়)।
  3. উজ্জ্বলতা (ধাতুর বিশেষ দ্যুতি আছে। এরা আলো বিচ্ছুরন করে)।
  4. পরিবাহিতা (ধাতুসমূহ তাপ ও বিদ্যুৎ সু-পরিবাহী)।
  5. ধাতব শব্দ (আঘাতে ধাতু টুন টুন শব্দ করে)।
  6. গলনাংক ও স্ফুটনাংক (ধাতু উচ্চ গলনাংক ও স্ফুটনাংক বিশিষ্ট)।
  7. ঘনত্ব (ধাতুসমূহের ঘনত্ব অধাতুর তুলনায় বেশি)।


ধাতু বিদ্যুৎ সুপরিবাহী হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করো।

আধুনিক ধারণা অনুযায়ী ধাতব পরমাণুর সর্ববহিস্থ স্তরের ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের সাথে দুর্বলভাবে আবদ্ধ থাকে। ধাতব খণ্ডে এ ইলেকট্রনগুলো পরমাণুর কক্ষপথ থেকে বের হয়ে সমগ্র খণ্ডে মুক্তভাবে চলাচল করে। বিমুক্ত ইলেকট্রনগুলো কোনো নির্দিষ্ট পরমাণুর অধীনে থাকে না। বরঞ্চ সমগ্র ধাতব খণ্ডের হয়ে যায়। ইলেকট্রন হারিয়ে ধাতুর পরমাণুগুলো আয়নে পরিণত হয়ে এক ত্রিমাত্রিক জালকে অবস্থান করে। ফলে এক ইলেকট্রন সাগরে ধাতব আয়নগুলো নিমজ্জিত আছে বলে মনে করা হয়। বিমুক্ত ইলেকট্রনের কারণে ধাতু বিদ্যুৎ সুপরিবাহী। কেননা, ইলেকট্রনের স্রোতই বিদ্যুৎ প্রবাহের মূল কারণ।

Post a Comment

Previous Post Next Post