S-ব্লকঃ যেসব মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ ইলেকট্রনটি s অরবিটালে প্রবেশ করে সেগুলোকে s-ব্লক মৌল বলে।
এ ব্লকে মৌল ১৪টি। পর্যায় সারণির যে সকল মৌলের সর্বশেষ শক্তিস্তরে এক বা দুটি ইলেকট্রন থাকে অর্থাৎ গ্রুপ-১ ও গ্রুপ-২ এর মৌলগুলো এ ব্লকের অন্তর্ভুক্ত। যেখানে গ্রুপ-১ ক্ষার ধাতু এবং গ্রুপ-২ মৃত্ক্ষার ধাতু হিসেবে পরিচিত। এরা নরম ধাতু এবং কিছু ব্যতিক্রম মৌল ছাড়া বেশিরভাগ মৌলের লবণগুলো শিখা পরীক্ষায় বিভিন্ন বর্ণ ধারণ করে।
P-ব্লকঃ যেসব মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ ইলেকট্রনটি p অরবিটালে প্রবেশ করে সেগুলোকে s-ব্লক মৌল বলে।
এ ব্লকে মৌল ৩৬টি। পর্যায় সারণির ১৩ থেকে ১৮ নং গ্রুপের মৌলসমূহ এ ব্লকের অন্তর্ভুক্ত। এ ব্লকের মৌলগুলো আদর্শ বা প্রতিরূপী মৌল হিসেবে পরিচিত। এর বেশিরভাগ মৌল তড়িৎ ঋণাত্নক। তাছাড়া এদের অধাতব অক্সাইড অম্লধর্মী হয়।
D-ব্লকঃ যেসব মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ ইলেকট্রনটি d অরবিটালে প্রবেশ করে সেগুলোকে s-ব্লক মৌল বলে।
এ ব্লকে ৪১টি মৌল। সারণির ৩ থেকে ১২ নং গ্রুপের মৌলসমূহ এ ব্লকে অন্তর্ভুক্ত। এরা উত্কৃষ্ট ধাতু হিসেবে পরিচিত। এ ব্লক মৌলসমূহ জটিল লবণ (কমপ্লেক্স সল্ট) গঠন করে। এরা রঙিন যৌগ গঠন করে। চৌম্বকক্ষেত্র দ্বারা আকর্ষিত হয় এরা।
F-ব্লকঃ যেসব মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ ইলেকট্রনটি f অরবিটালে প্রবেশ করে সেগুলোকে s-ব্লক মৌল বলে।
এ ব্লকে মৌল আছে ২৭টি। ল্যানথানাইড ও অ্যাকটিনাইড মৌলগুলো এ ব্লকের অন্তর্ভুক্ত। এর মৌলসমূহ অন্তঃঅবস্থান্তর মৌল হিসেবে পরিচিত। আর অ্যাকটিনাইড শ্রেণির বেশিরভাগ মৌলই তেজষ্ক্রিয় হয়।
Sob guloi zodi s block a probas kora tahola baki gula kothay probash korba
ReplyDeletePost a Comment