ভাষা ভাবের বাহন। ভাব প্রকাশের তাগিদে ভাষার উদ্ভব। ভাষার প্রধান কাজই হলো একের ভাবনাকে অনেকের কাছে পৌঁছে দেয়া। মানবসভ্যতার প্রথম থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন জনগোষ্ঠী তাদের নির্দিষ্ট কিছু সাংকেতিক ধ্বনির মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে ভাব বিনিময় করত। এতে তাদের মনের ভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করা সম্ভব হতো না। তারপর, কোনো এক শুভক্ষণে মানুষের মুখ খুলে গেল। মানুষ তখন ভাঙ্গা ভাঙ্গা নানা ধ্বনি উচ্চারণ করতে লাগল। আর মানুষের মুখনিঃসৃত সেসব ধ্বনির সূত্র ধরেই কালক্রমে সৃষ্টি হয়েছে ভাষা। তবে কখন, কোথায়, কীভাবে ভাষার সৃষ্টি হয়েছে তা আজও জানা যায় নি।

ভাষা হচ্ছে, মানুষের মুখনিঃসৃত অর্থপূর্ণ ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি। এসব ধ্বনি উচ্চারণের জন্য কণ্ঠ, জিহবা, তালু, ওষ্ঠ, দন্ত, নাসিকা প্রভৃতি বাগযন্ত্রের সাহায্য প্রয়োজন। শুধু এসব বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টিই কোনো ভাষা সৃষ্টি করতে পারে না। ভাষা হতে হলে, সে ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টিকে কোনো না কোনো অর্থ প্রকাশ করতে হয়।

সংজ্ঞা : বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত অর্থবোধক ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি যা মনের ভাব প্রকাশের নিমিত্তে বা সংবাদ আদান প্রদানের জন্য ব্যবহার করা হয় তাই ভাষা।

Post a Comment

Previous Post Next Post