বর্ণের সাথে বর্ণ মিলে শব্দ গঠিত হয়। কিন্তু বর্ণের সাথে বর্ণ মিলে অর্থ প্রকাশ না করলে শব্দ হয় না। আবার একটি মাত্র বর্ণেও যদি একটি অর্থ প্রকাশ করে তবে তা শব্দ হয়। যেমন- মা, চা ইত্যাদি। অর্থাৎ, এক বা একাধিক বর্ণ মিলে একটি অর্থ প্রকাশ করলে, তাকে শব্দ বলে। যেমন– বক, বল, বই, কলম, ছাতা ইত্যাদি।


যুক্তবর্ণ বলতে কি বুঝায়?

দুই বা দুইয়ের অধিক ব্যঞ্জনবর্ণ একত্রে মিলিত হয়ে যুক্তবর্ণ গঠিত হয়। যেমন- ক এবং ত মিলে হয় = ক্ত, স এবং ক মিলে হয় = স্ক, ষ এবং ট মিলে হয় = ষ্ট ইত্যাদি। বাংলা ভাষায় যুক্তবর্ণের সংখ্যা অনেক। যুক্তবর্ণকে সংযুক্তবর্ণ বা যুক্তাক্ষরও বলা হয়। যুক্তবর্ণ বা যুক্তাক্ষরগুলো কখনো উপর-নিচ, আবার কখনো বা পাশা-পাশি লেখা হয়। অর্থাৎ, দুই বা ততোধিক ব্যঞ্জনবর্ণ একত্রে মিলিত হয়ে যে নতুন ব্যঞ্জনবর্ণ গঠন করে, তাকে যুক্তবর্ণ বা যুক্তাক্ষর বলে। যেমন– স্ক (স + ক), ক্ত (ক + ত), ন্দ (ন+ দ), ষ্ঠ (ষ + ঠ) ইত্যাদি।

Post a Comment

Previous Post Next Post