আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে ড্রেসিং করে মেডিসিন লাগিয়ে তাতে কাপড় দিয়ে বাঁধাই করাকে ব্যান্ডেজ (Bandage) বলে।


ব্যান্ডেজের শ্রেণিবিভাগ

ব্যান্ডেজ তিন প্রকার: ১. ট্রায়াঙ্গুলার বা ত্রিকোণাকৃতি ব্যান্ডেজ, ২. রোলার ব্যান্ডেজ, ৩. বিশেষ ব্যান্ডেজ- যেমন: মাল্টি টেইল ব্যান্ডেজ।

১. ট্রায়ঙ্গুলার বা ত্রিকোণাকৃতির ব্যান্ডেজ : প্রাথমিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে এটি বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয়। একটি চারকোনা কাপড়ের মাঝখান দিয়ে কোনাকুনিভাবে কেটে নিলে ত্রিভুজ ব্যান্ডেজ তৈরি হবে, যার মাপ হবে মোট ৪২” ইঞ্চির মতো। ১ মিটার মাপের কাপড় নিলেও চলবে।

২. রোলার ব্যান্ডেজ : সাধারণত অভিজ্ঞ প্রাথমিক চিকিৎসকগণ বা হাসপাতালে রোলার ব্যান্ডেজ ব্যবহার করা হয়। এটি বিভিন্ন আকৃতির হতে পারে। এটি এক থেকে ছয় ইঞ্চি পর্যন্ত চওড়া হয়। খেলোয়াড়দের দেহে আঘাত লাগলে ক্রেপ রোলার ব্যান্ডেজ ব্যবহার করা হয়।

৩. মাল্টি টেইল ব্যান্ডেজ : অনেক লেজবিশিষ্ট ব্যান্ডেজকে মাল্টি টেইল বা বহু প্রান্তিক ব্যান্ডেজ বলে, যা দেখতে 'T' এর মতো হয়।


ব্যান্ডেজ করার সময় কী কী জিনিস মনে রাখতে হবে?

সাধারণত ড্রেসিংকে ঠিকমতো ধরে রাখার জন্য ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ করা হয়। ব্যান্ডেজ করার সময় সব সময় মনে রাখতে হবে—

১. ব্যান্ডেজ যেন পুরো ড্রেসিংকে ধরে রাখতে পারে।

২. ব্যান্ডেজ যেন আলগা বা বেশি শক্ত করে লাগানো না হয়।

৩. আহত অঙ্গের তুলনায় ব্যান্ডেজের মাপ যেন বেশি চওড়া বা সরু না হয়।

৫. ব্যান্ডেজের কাপড় যেন বেশি স্থিতিস্থাপক (elastic) না হয়। সাধারণ ক্ষেত্রে শক্ত কাপড়ের ব্যান্ডেজ করা ভালো।

৬. ব্যান্ডেজ একটি বিশেষ দক্ষতা। এটি নানা ক্ষেত্রে নানাভাবে করতে হয়। এটি ধীরে ধীরে অভ্যাস করে আয়ত্ত করতে হয়।


আরো পড়ুনঃ-

১। ড্রেসিং (Dressing) কাকে বলে? ড্রেসিং করার পদ্ধতিসমূহ কি কি?

২। অ্যান্টিসেপটিক কি? অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিসেপটিক এর মধ্যে পার্থক্য কি?

৩। ইসিজি (ECG) কি? ইসিজি কেন করা হয়?

Post a Comment

Previous Post Next Post