সরকারি কর্মকাণ্ডে আইসিটির সবচেয়ে উদ্ভাবনী ও কুশলী প্রয়োগ করে জনগণের কাছে নাগরিক সেবা পৌঁছে দেওয়াকে দোরগোড়ায় সরকারি সেবা বলে। উল্লেখযোগ্য দোরগোড়ায় সরকারি সেবা হলো–
১. ই-পর্চা : জমি-জমার বিভিন্ন রেকর্ড সংগ্রহের জন্য পূর্বে অনেক হয়রানি হতো, বর্তমানে দেশের ৬৪টি জেলায় ই-সেবা কেন্দ্র থেকে তা সহজে সংগ্রহ করা যায়।
২. ই-বুক : সকল পাঠ্যপুস্তক অনলাইনে সহজে প্রাপ্তির জন্য সরকারিভাবে একটি ই-বুক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে (www.ebook.gov.bd)।
৩. ই-পুর্জি : চিনিকলের পুর্জি (ইক্ষু সরবরাহের অনুমতিপত্র) স্বয়ংক্রিয়করণ করা হয়েছে এবং বর্তমানে মোবাইল ফোনে কৃষকরা তাদের পূর্জি পাচ্ছে। ফলে এ সংক্রান্ত হয়রানির অবসান হওয়ার পাশাপাশি কৃষকও তাদের ইক্ষু সরবরাহ উন্নত করতে পেরেছেন।
৪. পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ : বর্তমানে দেশের সকল পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল অনলাইনে এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হচ্ছে।
৫. ই-স্বাস্থ্যসেবা : জনগণের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য দেশের অনেক স্থানে টেলিমিডিসিন সেবা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালসমূহের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে মোবাইল ফোনে বা এসএমএসে অভিযোগ পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
৬. অনলাইনে আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতকরণ : ঘরে বসেই এখন আয়করদাতারা তাদের আয়করের হিসাব করতে পারেন এবং রিটার্ন তৈরি ও দাখিল করতে পারেন।
৭. টাকা স্থানান্তর : পোস্টাল ক্যাশ কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং, ইলেক্ট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেম ইত্যাদির মাধ্যমে বর্তমানে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অর্থ প্রেরণ সহজ ও দ্রুত হয়েছে। এছাড়া ইন্টারনেট ও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সহজে টাকা স্থানান্তরিত করা যায়।
৮. পরিসেবার বিল পরিশোধ : নাগরিক সুবিধার একটি বড় অংশ হলো বিদ্যুৎ, পানি কিংবা গ্যাস সরবরাহ।
এ সম্পর্কিত আরও কিছু প্রশ্নঃ–
১। দোরগোড়ায় সরকারি সেবা কাকে বলে?
২। জনগণের দোরগোড়ায় সেবা এটি সরকারের কোন উদ্যোগের স্লোগান?
৩। দোরগোড়ায় অর্থ কি?
৪। “দোরগোড়ায় সরকারি সেবা।”– বুঝিয়ে লেখ।
Post a Comment