সঠিকভাবে প্রাণিবিজ্ঞান পাঠে শ্রেণিবিন্যাসকরণের গুরুত্ব নিচে আলোচনা করা হলো-

১) প্রাণিজগতের অসংখ্য প্রাণী সম্বন্ধে অল্প সময়ে, অল্প পরিশ্রমে বিজ্ঞানসম্মতভাবে জানার সুবিধার্থে এদের শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজন।

২) শ্রেণিবিন্যাসে অভিব্যক্তির ধারা প্রতিফলিত হয়। তাই একটি পর্বের সাথে অন্যান্য পর্বের প্রাণীগুলোর সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য সহজেই ধরা পড়ে।

৩) শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমেই প্রাণিজগতের একটি প্র্রাণীর নির্দিষ্ট স্থান, অস্তিত্ব ও সম্পর্ক নির্দেশিত হয়।

৪) আধুনিক শ্রেণিবিন্যাসে প্রাণীদের অঙ্গসংস্থান ছাড়াও স্বভাব, বাসস্থান, আচরণ ইত্যাদি আলোচিত হয়। তাই প্রাণিজগতের বিভিন্ন প্রাণী শনাক্তকরণের মাধ্যমে ক্ষতিকর প্রাণীদের দমন, উপকারী প্রাণীদেরকে ব্যবহার করা, পশুপালন ইত্যাদি সম্পর্কে জানা যায়।

৫) বিভিন্ন প্রকার প্রাণী প্রতিপালনে এবং কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে উন্নত ধরনের প্রাণী উদ্ভাবনে শ্রেণিবিন্যাসে প্রয়োজন।

৬) জীবাশ্মের সম্বন্ধ নিরূপণে ও শনাক্তকরণে শ্রেণিবিন্যাস অত্যাবশ্যক।

৭) সর্বোপরি নতুন প্রজাতি শনাক্ত করতে শ্রেণিবিন্যাসকরণ বা শ্রেণিকরণের গুরুত্ব অপরিসীম।

Post a Comment

Previous Post Next Post