........ মজার গনিত ম্যাথ। 

ম্যাথ ম্যাজিক

ম্যাথ ম্যাজিক মজার গণিত ম্যাথ বলতে সবার মধ্যে একধরনের ভয় কাজ করে। সত্যি কি তা-ই! যাঁরা ম্যাথ ভালো বোঝেন আর ম্যাথ নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের মতে—ম্যাথ কথা বলে, নাচ গান করে, কাঁদে, হাসে এমনকি ম্যাথ ভালোও বাসে! কী, হাসি পাচ্ছে? হাসি পাবারই কথা, কিন্তু একবার ম্যাথ মানে গণিতকে ভালোবাসতে পারলে তার আসল সৌন্দর্য ফুটে উঠবে চোখের সামনে। যুগে যুগে যাঁরা ম্যাথকে ভালোবেসে ইতিহাস হয়ে আছেন তাঁদের কিছু কিছু ঘটনা সত্যি খুব মজার। গণিতবিদ ফ্রিডরিক গাওসের কথা তোমরা জানো নিশ্চয়ই? বিজ্ঞানী আর্কিমিডিস মাঝে মাঝেই নিখোঁজ হয়ে যেতেন। সকাল গড়িয়ে দুপুর তারপর বিকেল গড়িয়ে গেলেও তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যেত না। তাঁকে খুঁজতে এসে সৈন্যরা দেখত সকালে গোসল করতে এসে চৌবাচ্চার দেয়ালে একমনে অংক কষছেন। এমন হাজারো মজার ঘটনায় গণিতের ইতিহাস ভরপুর। আজকে ছোটবেলার কিছু ম্যাথ ট্রিক্স নিয়ে কথা বলি। আমরা বলতাম অংকের ধাঁধা। তো চলো দেখা যাক—   প্রথম ধাঁধা : ১. প্রথমে তোমার বন্ধুকে যেকোনো একটি সংখ্যা মনে মনে ধরে নিতে বলো । যেমন : ৭ ২. এবার সেই সংখ্যার সঙ্গে তার পরের সংখ্যাটি যোগ করতে বলো । যেমন : ৭-এর পরের সংখ্যা ৮, তাহলে ৭ + ৮ = ১৫ এভাবে। ৩. এবার যোগফলের সঙ্গে ১৯ যোগ করতে বলো । যেমন : ১৫ + ১৯ = ৩৪ ৪. এবার উক্ত যোগফলকে ২ দিয়ে ভাগ করতে বলো। যেমন : ৩৪ — ২ = ১৭  ৫. এবার ভাগফল থেকে তোমার বন্ধু যেই সংখ্যাটি মনে মনে ধরেছিল সেটি বিয়োগ করে দিতে বলো। যেমন : ১৭ - ৭ = ১০ এবার ম্যাজিশিয়ানের মতো গম্ভীর ভাব নিয়ে বলে দাও উত্তর ১০! তোমার বন্ধু যে সংখ্যাই ধরুক না কেন উত্তর কিন্তু ১০ই আসবে।   দ্বিতীয় ধাঁধা : ১. তোমার বন্ধুকে তিন ডিজিটের যেকোনো সংখ্যা ধরতে বলো। তবে তিনটা একই হতে পারবে না। যেমন : ১৬২ ২. এবার বলো সংখ্যাগুলোকে বড় থেকে ছোট অনুযায়ী সাজাতে। যেমন : ৬২১ ৩. সংখ্যাটাকে উলটো করে লিখে বিয়োগ করতে বলো। যেমন : ৬২১ - ১২৬ = ৪৯৫ ৪. এবার ফলাফলকে আবার উলটো করে আগের বিয়োগ ফলের সঙ্গে যোগ দিতে বলো। যেমন : ৫৯৪ + ৪৯৫ = ১০৮৯ ৫. তোমার বন্ধুকে বলো যোগফল থেকে তার নিজের ধরা সংখ্যাটা বাদ দিতে। যেমন : ১০৮৯ - ১৬২ = ৯২৭ ৬. এবার তাকে জিজ্ঞেস করো ফল কত? যেমন : ফল = ৯২৭ ৭. এবার ফল যা-ই হোক, মনে মনে ১০৮৯ থেকে বন্ধুর কাছ থেকে শোনা সংখ্যাটা বাদ দিয়ে বলে দাও তোমার বন্ধু কোন সংখ্যা ধরেছিল । যেমন : ১০৮৯ - ৯২৭ = ১৬২ এমন মজার মজার ধাঁধা কিন্তু তোমরা নিজেরাও বানাতে পারো। মনে রাখতে হবে—ম্যাথ বা গণিতকে ভালোবাসার পূর্বশর্ত হলো ম্যাথ নিয়ে মজা করতে হবে। ম্যাথের সঙ্গে কথা বলতে হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post