মাইক্রোকম্পিউটার (Microcomputer)হচ্ছে মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে তৈরি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত কম্পিউটার। সাধারণত একজন লােক একটি কম্পিউটার ব্যবহার করে বলে মাইক্রোকম্পিউটারকে পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি বলা হয়। এ জাতীয় কম্পিউটার সহজে বহনযোগ্য, দাম তুলনামূলকভাবে কম এবং রক্ষণাবেক্ষণও সহজ হওয়ার ফলে ব্যবহারকারীদের মাঝে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক, দপ্তরিক, সরকারি, সর্বোপরি বিনােদনমূলক কর্মকাণ্ডে এ ধরনের কম্পিউটারগুলাের ব্যবহার একের পর এক বৃদ্ধি পাচ্ছে। IBM PC, APPLE Macintosh ইত্যাদি মাইক্রোকমপিউটারের উদাহরণ।


মাইক্রোকম্পিউটারের প্রকারভেদ
প্রযুক্তির ক্রমাগত উন্নতির সাথে সাথে মাইক্রোকম্পিউটারের আকৃতিতে নানা রকম পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের ব্যবহারিক সুবিধার প্রতি লক্ষ্য রেখে বিভিন্ন আকৃতির মাইক্রোকম্পিউটার বাজারে এসেছে। যেমন:
১। ডেস্কটপ কম্পিউটার
২। ল্যাপটপ কম্পিউটার
৩। নােটবুক কম্পিউটার ইত্যাদি।

মাইক্রোকম্পিউটারের ইতিহাস
১৯৭৫ সালে MITS (Micro Instrumentation and Telemetry Systems) কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা প্রকৌশলী হেনরি এডওয়ার্ড রবার্টস (Henry Edward Roberts) ইন্টেলের মাইক্রোপ্রসেসর ভিত্তিক Altair-880 মাইক্রোকম্পিউটার তৈরি করেন। এতে ইন্টেলের ৮০৮০ মাইক্রোপ্রসেসর ও ২৫৬ কিলোবাইট মেমোরি ব্যবহৃত হয়েছে। এটি হলো প্রথম মাইক্রোপ্রসেসর ভিত্তিক কম্পিউটার বা মাইক্রোকম্পিউটার। সেজন্য হেনরি এডওয়ার্ড রবার্টসকে মাইক্রো কম্পিউটারের জনক বলা হয়।

মাইক্রোকম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য
১. আকারে ছোট।
২. কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশ (CPU) হিসেবে মাইক্রোপ্রসেসরের ব্যবহার।
৩. তথ্য সংরক্ষণের জন্য চৌম্বক কোরের ব্যবহার।
৪. সহজে বহনযোগ্য।
৫. বিদ্যুৎ কম খরচ হয়।

মাইক্রো কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্র
মাইক্রো কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ক্ষেত্রের নাম নিচে উল্লেখ করা হলাে–
১. ব্যবসা-বাণিজ্য
২. বৈজ্ঞানিক গবেষণা
৩. শিল্পায়ন
৪. চিকিৎসা
৫. শিক্ষা
৬. প্রতিরক্ষা
৭. প্রকাশনা
৮. যােগাযােগ
৯. বিনােদন

Post a Comment

Previous Post Next Post