প্রত্যেকটি তড়িৎ উৎসেরই দু'টি প্রান্ত থাকে, একটি উচ্চ বিভর প্রান্ত বা ধনাত্মক প্রান্ত এবং অপরটি নিম্ন বিভব প্রান্ত বা ঋণাত্মক প্রান্ত। তড়িৎ উৎসের কাজ হচ্ছে ধনাত্মক চার্জ বাহককে ঋণাত্মক প্রান্ত থেকে নিয়ে ধনাত্মক প্রান্তে জমা করা বা ধনাত্মক ও ঋণাত্মক প্রান্তের মধ্যে বিভব পার্থক্য সৃষ্টি করা। এ বিভব পার্থক্যই বহিঃবর্তনীতে তড়িৎ প্রবাহের সৃষ্টি করে। বিচ্ছিন্ন অবস্থায় তড়িৎ উৎসের প্রান্তদ্বয়ের বিভব পার্থক্য সর্বোচ্চ হয়। একে উৎসের তড়িচ্চালক বল বলে। একক ধনাত্মক চার্জকে ঋণাত্মক প্রান্ত থেকে নিয়ে ধনাত্মক প্রান্তে জমা করতে তড়িৎ উৎসের যে শক্তি ব্যয় হয় তাকে ঐ উৎসের তড়িচ্চালক বল বলে। অন্যভাবে বলা যায়, বিচ্ছিন্ন অবস্থায় কোনো তড়িৎ উৎসের দু'প্রান্তে যে সর্বোচ্চ বিভব পার্থক্য উৎপন্ন হয় তাকে ঐ উৎসের তড়িচ্চালক বল বলে।
তড়িচ্চালক বলের একক জুল/কুলম্ব; যা বিভব পার্থক্যের একক ভোল্টের অনুরূপ। অর্থাৎ, 1V = 1JC-1
অনুশীলনী
১। তড়িচ্চালক বল কাকে বলে?
২। তড়িৎ উৎস কি?
৩। তড়িৎ কোন দিক থেকে কোন দিকে প্রবাহিত হয়?
৪। তড়িৎ উৎসের উদাহরণ।
৫। তড়িৎ উৎসের কাজ কি?
৬। প্রত্যেকটি তড়িৎ উৎসেরই কয়টি প্রান্ত থাকে?
৭। কিভাবে তড়িৎ প্রবাহের সৃষ্টি হয়?
৮। তড়িচ্চালক বলের একক কি?
Post a Comment