১৯৭৫ সালে বিজনেস উইক নামক ম্যাগাজিনে কাগজবিহীন অফিসের কাজকর্মের বিষয়টি প্রবন্ধ আকারে প্রকাশিত হয়েছিল। তখনকার সেই কল্পবিজ্ঞান আজকে বাস্তবে পরিণত হয়েছে। অফিসের একটি নির্দিষ্ট নেটওয়ার্কে যুক্ত কম্পিউটারগুলোর মধ্যে প্রয়োজনীয় কাজ লিখিত আকারে পাঠানোর মাধমে যে অফিস তৈরি হয় সেটাই কাগজবিহীন অফিস।

কাগজবিহীন অফিসে কর্মীরা কাগজে কিছু না লিখে নেটওয়ার্কযুক্ত কম্পিউটারে লিখে একে অন্যের কাছে পাঠিয়ে দেয়। এর ফলে খুব অল্প সময়েই অনেক কাজ করে ফেলা যায়। কাগজ ব্যবহার না করার ফলে কাগজের খরচ বেঁচে যায়। এর দরুন কাগজের উৎপাদন কমে এবং গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে পরিবেশ সংরক্ষিত হয়। এক্ষেত্রে কাগজে লেখার কালি, টোনার ব্যবহার হয় না বলে রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে পরিবেশও দূষিত হয় না। তাই পরিবেশের সংরক্ষণে এবং কাজের জটিলতা কমাতে কাগজবিহীন অফিস বড় ভূমিকা রাখে।

Post a Comment

Previous Post Next Post