দুর্বল ক্ষার : যে সকল ক্ষার জলীয় দ্রবণে আংশিক আয়নিত হয় তাকে দুর্বল ক্ষার বলে। যেমন : Ca(OH)2, NH4OH ইত্যাদি।

সবল ক্ষার : যে সকল ক্ষার জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণ আয়নিত হয় তাদেরকে সবল ক্ষার বলে। যেমন : NaOH, KOH ইত্যাদি।


রসায়ন (Chemistry) বিষয়ের আরও প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। রসায়ন কাকে বলে?

উত্তরঃ বিজ্ঞানের যে শাখায় পদার্থের গঠন, পদার্থের ধর্ম এবং পদার্থের পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে রসায়ন বলে।


প্রশ্ন-২। কেলাস কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো কঠিন পদার্থের স্বচ্ছ, স্ফটিকাকার ও নির্দিষ্ট জ্যামিতিক আকৃতির গঠনকে কেলাস বলে।


প্রশ্ন-৩। ঋণাত্মক যৌগমূলক কাকে বলে?

উত্তরঃ যে যৌগমূলক অধাতুর মতো আচরণ করে তাকে ঋণাত্মক যৌগমূলক বলে। যেমন সালফেট (SO4) একটি ঋণাত্মক যৌগমূলক।


প্রশ্ন-৪। বেকিং পাউডারের মূল উপাদান কি?

উত্তরঃ বেকিং পাউডারের মূল উপাদান হলো সোডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বনেট। চুনাপাথর, অ্যামোনিয়া গ্যাস এবং খাবার লবণ ব্যবহার করে সোডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বনেট প্রস্তুত করা হয়।


প্রশ্ন-৫। পরমাণুতে ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউটন ছাড়া আর কোন কণিকার অস্তিত্ব আছে কী?

উত্তরঃ পরমাণুতে ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউটন ছাড়া আর কোন কণিকার অস্তিত্ব নেই। ইলেকট্রণ পরমাণুর বহিঃস্থ শেলে অবস্থান করে। প্রোটন ও নিউট্রন নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরে অবস্থান করে।


প্রশ্ন-৬। পরমাণু মডেল কি?

উত্তরঃ পরমাণুতে ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন যেভাবে সজ্জিত থাকে তা প্রকাশের পদ্ধতিই পরমাণুর মডেল।


প্রশ্ন-৭। পরমাণুর ভরসংখ্যা কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনাে পরমাণুর অন্তর্গত প্রােটন ও নিউট্রনের মােট সংখ্যাকে সেই পরমাণুর ভরসংখ্যা বলে।


প্রশ্ন-৮। নিউট্রনের বৈশিষ্ট্য লিখ।

উত্তরঃ নিচে নিউট্রনের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হলো :

১. নিউট্রনের ভর হাইড্রোজেন পরমাণুর ভরের প্রায় সমান। সুতরাং নিউট্রনের প্রকৃত ভর হল 1.675 × 10-24g।

২. নিউট্রন আধান নিরপেক্ষ।

৩. নিউট্রন নিউক্লিয়াসের মধ্যে থাকে।

৪. নিউট্রনের আসল ভর প্রোটন অপেক্ষা সামান্য বেশি।


প্রশ্ন-৯। লোহা ও সালফার কোন ধরনের পদার্থ?

উত্তরঃ লোহা ও সালফার হল মৌলিক পদার্থ। লোহা ও সালফার উভয় মৌলিক পদার্থ হলেও এদের ধর্ম সম্পূর্ণ ভিন্ন। যেমন– লোহা ধাতু এবং সালফার অধাতু।


প্রশ্ন-১০। রাসায়নিক আসক্তি কাকে বলে?

উত্তরঃ রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটনের জন্য বিক্রিয়ক পদার্থগুলোর পরমাণুসমূহ পরস্পরের সাথে সংযুক্ত হওয়ার জন্য যে প্রবল আকর্ষণ শক্তি অনুভব করে তাকে রাসায়নিক আসক্তি বলে।

Post a Comment

Previous Post Next Post